এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় কী ঘটেছিল
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল টোলপ্লাজার বেষ্টনী জোর করে সরিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি যাত্রী বোঝাই একটি পিকআপ ঢুকছে- এমন একটি ভিডিও গতকাল সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিরা টোল দিতে চাননি।
তবে সেতু বিভাগ এবং ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, পণ্যবাহী যানবাহনে পরিবহনে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ। এ কারণে পিকআপটিকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। কিন্তু সেই পিকআপে থাকা টুপি পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তিরা তা মানতে রাজি হচ্ছিলেন না। তারা টোলের ৮০ টাকা নিতে জোর করেন টোলপ্লাজায়। প্লাজার কর্মীরা এতে রাজি না হওয়ায় বেষ্টনী জোর করেন পিকআপের যাত্রীরা। তারপর পিকআপটি এক্সপ্রেসোয়েতে প্রবেশ করে ফার্মগেট যায়।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্যরা এসে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গেছেন। পিকআপ এবং এর যাত্রীদের শনাক্তের কাজ চলছে। তবে এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকসহ কেউ সংবাদমাধ্যমে নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ইটালিয়ান থাই ডেভোলমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (ইটাল-থাই), দুই চীনা প্রতিষ্ঠান শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক এন্ড টেকনিক্যাল প্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন৬ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) নির্মিাণ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিনিয়োগকারীরা ২২ বছর টোল আদায় করবে।
বিদেশি বিনিয়োগ থাকায় প্রকল্পটি স্পর্শকাতর। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে মহাখালী এবং বনানী টোল প্লাজায় আগুনে পোড়ে।
ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানির অপারেশন ম্যানেজার হাসান হাসিব খান জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে পিকআপ আটকে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। টোল প্লাজার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুধু তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়েছে।