
পোস্টার, ব্যানার, গেট, তোরণ ও আলোকসজ্জা থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ খরচে তা অপসারণ করতে হবে: ইসি
রূপসী বাংলা ঢাকা ডেস্ক রিপোর্ট: শুক্রবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দল জোটগতভাবে প্রার্থী দিলে আগামী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ১৪ নভেম্বরের মধ্যে জেলা, উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, গেট, তোরণ ও আলোকসজ্জা থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ খরচে তা অপসারণ করতে হবে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইসি সচিব।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমরা শুক্রবার চিঠি দিয়েছি। যারা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে চান, তারা কোনও জোটে নির্বাচন করবেন সে বিষয়টি আগামী তিন দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
এদিকে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক গণসংযোগ (এসএম আসাদুজ্জামান) পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালের আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারা-১-এর ‘এ’ উপধারা অনুযায়ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে নির্বাচনী জোট গঠন করা হলে এ জোটের যে কোনও একটি দলের প্রতীক জোটভুক্ত প্রার্থীদের বরাদ্দ করা যাবে। এরূপ প্রতীক পেতে হলে জোটকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে কমিশন বরাবর আবেদন জানাতে হবে।
নিবন্ধিত নয় এমন কোনও রাজনৈতিক দল যদি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চায়, সে ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘ইসির কিছু করার থাকবে না। এ বিষয়ে কোন আইনও নেই।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পরপরই আগামী সাতদিনের মধ্যে জেলা, উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় যেখানে পোস্টার, ব্যানার, গেট, তোরণ ও আলোকসজ্জা আছে, সেগুলো অপসারণ করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও পৌরসভার মেয়রদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যারা এগুলো উত্তোলন করেছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা নিজ উদ্যোগে এগুলো নামিয়ে ফেলবেন। যদি নামিয়ে অথবা ভেঙে না ফেলেন, তাহলে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে তারা দন্ডিত হবেন। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় স্থানীয় বিভাগীয় কমিশনারদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫৮০ জনের মত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা অথবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রয়েছে, তাদের সহকারি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
সচিব জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচারণার সুযোগ থাকে। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।