এই সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত বিএনপি’র কোন নেতাকর্মীরা বাড়ি ফিরে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিএনপি’র উদ্যোগে এক মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশের জন্য ট্রাক দিয়ে অস্থায়ীভাবে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
‘গণতন্ত্রের ঘাতক, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও সর্বনাশা অনাচারে লিপ্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নি:শর্ত মুক্তি ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনে একদফার এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, সামাজিক কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সেখানে আমরা যাবো না। দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় চেয়ে বড় কোনো অনুষ্ঠান নেই। তাই কোনো অনুষ্ঠানে যাবো না। ঝড় ও বৃষ্টি মানবো না। আর যে কর্মসূচি দেবো, তা শক্তভাবে পালন করতে হবে।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে আমির খসরু বলেন, এই সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত কেউ বাড়ি ফিরে যাবেন না। যাবেন? না। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন ততক্ষণ কেউ যাবেন না।
তিনি বলেন, এখানে আজকে ইন্টারনেট নাই। এর পিছনে যারা কাজ করছেন, তারা হচ্ছেন ভোট চোরদের দালাল। সুতরাং সাবধান।
সাবধান, এই ভোট চোরদের সঙ্গে যারা আছেন তারা কিন্তু চিহ্নিত হয়েছেন। তাই সাবধান হয়ে যেতে হবে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত দুই-তিন দিনে প্রচুর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এই কাজটি করছেন তারা ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই কাজটি করছেন। তারাও সবাই চিহ্নিত হচ্ছে।
আজকের সভার পরে এই সরকারের থাকার আর কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই সরকারের সঙ্গে কেউ নাই। আগেও নাই, ডানেও নাই এবং বামেও নাই। কার ওপর বিশ্বাস করে ভোট চুরির প্রকল্পের বাস্তবায়নের চিন্তা করছে। কিন্তু এটা এবার বাস্তবায়ন হবে না।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদিন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবুর রহমান শামীম, আসাদুল হাবিব দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, মোস্তাক মিয়া, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমিনুল হক, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।