অঙ্গনাঅনুবাদআন্তর্জাতিক

মেয়েদের দাম

জাহান আরা দোলন


একটা বাল্যবিবাহে একজন কনেশিশুর ভূমিকা আসলে কি? যৌতুক, সামাজিক মর্যাদা, গার্হস্থ্য শ্রম নাকি ব্যবসায়িক সংযোগ— কোনটা? তাছাড়া, তার নিজের পরিবার অথবা শ্বশুরবাড়ির পরিবারেই বা তার মূল্যায়ন কতটুকু? এবং মেয়েটাকেই বা কতখানি মূল্য দিতে হচ্ছে?

আফগানিস্তানের হিরাটে সেভেন্থ গ্রেড শেষ করা সুমাইয়ার বাবা যখন তাকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার আফগানিতে (তিন হাজার তিন শ’ ডলার বা ২লক্ষ ৭৭ হাজার ২শ’ টাকা), আত্মীয়ের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন, তখন তার বয়স মাত্র তেরো।

সুমাইয়া জানায়, সে তার স্বামীর পরিবারে চলে আসে। বিয়ের বিছানা, জামাকাপড় এবং গয়না কিনতে তার বাবা অধিকাংশ টাকা ব্যয় করেন। বিয়ের পরে আবার স্কুলে যাওয়ার কথা বলায় তার স্বামী এবং শাশুড়ি দুজনে মিলেই তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ছিল।

আমি বারবার তাদেরকে আমার স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছার কথা বলতেই থাকি‘ সুমাইয়া জানায়। অধিকাংশ আফগানদের মতো সেও মাত্র একটাই নাম ব্যবহার করে, কোনো পারিবারিক নামবিহীন একটা নাম। ‘কিন্তু, আমার শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা আমাকে বলেছিল, ‘তুমি স্কুলে গেলে বাড়ির কাজগুলো কে করবে? আমরা তোমাকে কিনে এনেছি।

ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে বিশ্বের শতকরা সতেরো শতাংশ, পঁয়ষট্টি কোটি কিশোরী অথবা নারীর আঠারো বছরের আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। এই বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকার গৃহীত একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রোজেক্ট, আলবেনিয়া থেকে পাকিস্তান হয়ে তানজানিয়ার কনেশিশুদের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্যোগকে জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে বাতিল করার চেষ্টা করছে।

ইউনিসেফ বলছে, সমস্যার মূল কারণ বাল্যবিবাহ বন্ধ করা গেলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উন্নতি, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং মানবাধিকার সম্প্রসারণ সম্ভব। বিবাহিত কিশোরী মেয়েদেরকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তাছাড়া শুধু কাজ এবং সন্তান উৎপাদনের মধ্যে ন্যস্ত থাকা জীবন ব্যবস্থা, বহুকাল ধরে চলে আসা লিঙ্গ বৈষম্যকেই চিরস্থায়ী করে রাখে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে পনেরো থেকে উনিশ বছরের মেয়েদের মৃত্যুর প্রধান কারণ গর্ভধারণ এবং প্রসব সংক্রান্ত জটিলতা। আঠারোর কম বয়সের মেয়েদের জন্ম দেওয়া শিশুদের মৃত্যু এবং অপরিপক্কতার ঝুঁকির হার বেশি থাকে।

বাল্য বিবাহ যে কেবল নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে বা নির্দিষ্ট কোনো ধর্মে ঘটছে তা নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে মাত্র গত বছরে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ষোল ধার্য করা হয়েছে। পাশ্ববর্তী রাজ্যের জুটিগুলো বিয়ের জন্য মধ্য পশ্চিমের রাজ্যে প্রবেশের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছে, কারণ প্রায় ক্ষেত্রেই মেয়েটির গর্ভধারণ হয়ে গেছে আর সন্তানের বাবাটি আইনি ধর্ষণের কারণে জেলে যাওয়ার ভয়ে ভীত।

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কার্যক্রমে সচেষ্ট লন্ডন ভিত্তিক অংশীদারিত্ব সংস্থা, গার্লস নট ব্রাইডস-এর তথ্য অনুসারে, উত্তর নাইজেরিয়াতে শতকরা পঁয়ষট্টি শতাংশ মেয়েরই আঠারো বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এবং ইসলামিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বোকো হারাম তাদের বিবাহিত জঙ্গি যুবকদের বিবাহে উদ্বুদ্ধ করতে ক্রমাগত পুরস্কৃত করে যাচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার বালির পূবে লুশ দ্বীপ, লমবকের এক মেয়ের ষোল বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরেও বিয়ে হয় নি বলে, তার পরিবার তাকে নিয়ে ভীষণরকম লজ্জিত।

বাল্য বিবাহ শব্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিয়ে এবং অনানুষ্ঠানিক সহাবস্থান উভয়ই বোঝাতে পারে। এতে একটি মেয়ে বা ছেলে তার সঙ্গীর সঙ্গে আঠারো বছর বয়সের আগেই বিবাহিত হিসাবে বসবাস করে। একটি অনানুষ্ঠানিক সহাবস্থান হলো এমন একটি দম্পতি যারা কোনো সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে একসাথে বসবাস করছেন।

ইউনিসেফের মতে, এই ভয়াবহ পরিণতি সত্ত্বেও প্রতি বছর প্রায় এক কোটি বিশ লক্ষের বেশি মেয়েদের আঠারো বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। প্রায়ই তাদেরকে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে কারো সঙ্গে থাকতে বাধ্য করা হয়। কারণ, এভাবে আটকে না দিলে, ভবিষ্যতে এই মেয়েরা হয়তো শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের উন্নত করে, জীবনের ভালো মন্দকে নিজেরাই বেছে নিতে শিখে যাবে এবং পিতামাতা ও অন্যান্যদের কাছে অনেক বেশি মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হবে।

যেখানে বাল্যবিবাহ হলো একটি দৃঢ়প্রোথিত সাংস্কৃতিক প্রথা যেটাকে কিছু মানুষ নারীদের সুরক্ষার অল্প কিছু বিকল্প মাধ্যমের একটি হিসেবে দেখেন, সেখানে এই প্রথা দরিদ্র ও গ্রামীণ অঞ্চলের মেয়েদের ওপর অপ্রতিরোধ্য প্রভাব ফেলে।

বৈশ্বিক মূল্যায়ন
সারাবিশ্বের ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিকরা, একজন অল্পবয়সী কনেকে কেমন ভাবে দুটো পরিবার থেকে মূল্যায়ন করা হয় সেটা প্রকাশ করতে, একটি মেয়ের মূল্যায়নের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। দুটো পরিবার- যে পরিবার সে ছেড়ে আসছে এবং যে পরিবারে সে এসে যুক্ত হচ্ছে- এদের কাছে তার মূল্যায়ন এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই হয়ে যাওয়া এই বিয়েতে তাকে নিজেকে কতটা মূল্য দিতে হচ্ছে সেটা।

প্রতিবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গি জানতে, ভয়েস অব আমেরিকার নিউজ টিম এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলি মোট বারোটি ভাষায় ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে মেয়ে এবং নারীদের নিজ নিজ জীবনের কনে ও কিশোরী মা হিসাবে অভিজ্ঞতার কথার সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্ট করেছে।

এই ভিডিও ক্লিপগুলো লক্ষ লক্ষ ভিউ, সহস্রাধিক মন্তব্য, অজস্র কান্নার ইমোজি থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহের পক্ষের এবং বিপক্ষের বিশ্বাস, অর্থ, সংস্কৃতি, ক্ষমতা, লিঙ্গবাদ(সেক্সিজম)এর যুক্তিতর্কগুলো তুলে ধরেছিল।

ভয়েস অব আমেরিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়া কিশোরী এবং নারীদের মধ্যে যে থিমটি প্রাধান্য পেয়েছে সেটা হলো, তাদেরকে স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তাদের অনুশোচনা এবং অন্য মেয়েদের, বিশেষত নিজেদের কন্যাদের জন্য তাদের মতোন একই ধরনের জীবন ব্যবস্থাকে না চাওয়া।

তুরস্কের কায়াপিনারে সুলতান মোস্তফা তুমারদেম (৫৮) বলেন, তিনি দুটি প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং স্বামী নিয়ে একটি সুখী জীবন কাটিয়েছেন। তার শৈশবে, তার বাবা-মা এমন একটি ছেলের সাথে তাকে জবরদস্তি বিয়ে দিয়েছিলেন যাকে তিনি চিনতেন না। তিনি চান না, অন্য কারোর সঙ্গে একই ধরণের ঘটনা ঘটুক।

হন্ডুরাসের ওলগা এমেলিনা ভাস্কেজ পেনা যখন তার প্রেমিকের সাথে চলে গিয়েছিলেন তার বয়স ছিল মাত্র সতেরো। তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। তারা এল গ্রানাডিলোতে একটি বাড়ি নিয়ে থাকতে শুরু করেন এবং এখন তাদের একটি পনেরো মাস বয়সী কন্যা রয়েছে। ওলগা জানান, লা পাজের কাছে তার নিজের গ্রামে, ভালো কোনো কাজ পাওয়া খুবই কঠিন, এবং ওখানকার ‘খুব কম মানুষই বিয়ে করে’।

আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
আঠারোর কম বয়সে বিয়ে বন্ধ করতে জাতিসংঘের নেওয়া প্রচেষ্টাটি হলো, তথাকথিত সতেরোটি ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’র(এসডিজি) লক্ষ্যসূচক বিশ্বব্যাপী চুক্তির একটি অংশ।

এসডিজি’তে উল্লিখিত লিঙ্গ সমতা এবং একটি লিখিত লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা হলো, ‘ক্ষতিকর রীতিগুলো যেমন, শিশু, বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ এবং মেয়ে শিশুদের খতনা বাতিলকরণ’। এর বক্তব্যটি হলো, সরকার, সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় এবং সম্প্রদায় নেতৃবৃন্দ এবং পরিবারগুলি তাদের মেয়েদের মূল্যকে মূল্যায়ন করতে একাত্ম হয়ে কাজ করবে।

বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অন রিসার্চ ফর উওমেন (আইসিআরডব্লিউ)-এর ২০১৭তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পরিবর্তনের জন্য অর্থনৈতিক সামর্থ্য একটি শক্তিশালী বিষয়। মেয়েদের পড়াশোনা এবং আজীবন উপার্জনের সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ রেখে এগিয়ে যেতে চাইলে, বাল্যবিবাহের পেছনে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে। প্রতিবেদনে ২৫টি উন্নয়নশীল দেশের বাল্যবিবাহের দিকে নজর দেওয়া হয়েছিল যেখানে কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ নারীদের আঠারো বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চমাত্রার উর্বরতা হার থেকে প্রাপ্ত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যহানির ফলাফল এবং সরকারী বাজেটের ওপর চাপ সৃষ্টি থেকে ভয়াবহ রকমের ইকোনমিক ড্রেইন (একপক্ষ থেকে অপরপক্ষে বিনিময় বিহীন সম্পদ বা অর্থের প্রবহমান ধারা) তৈরি হয়েছে।

আপাতত, লক্ষ লক্ষ মেয়ের বিয়েতে পারিবারিক লেনদেনের জন্য চাপ দেওয়াটা বিয়ের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। চুক্তিটি আর্থিক, নগদ অর্থ গ্রহণ বা প্রদান দুটোই হতে পারে। অথবা পারিবারিক শ্রম এবং সন্তান উৎপাদনের মতো সম্পর্কের জটিলতার অংশবিশেষ ও হতে পারে। অনেক পিতামাতার কাছেই একজন কন্যার সম্মান সবটাই তার কৌমার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথবা পারিবারিক অবস্থান এবং প্রতিপত্তির ভিত্তির ওপর নির্ভরশীল।

ভারতের প্রধান ভূমিকা
বিশেষজ্ঞরা ভারতের উদাহরণে উৎসাহিত হয়েছেন। অন্যান্য প্রায় দুই শত দেশকে সঙ্গে নিয়ে ভারত এই প্রথা বাতিল করার বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেছে।

যদিও বিশ্বের বেশি সংখ্যক শিশুকনেই ভারতের, তবে দেশটি ইতিমধ্যেই সম্প্রদায় এবং আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাল্যবিবাহের ঘটনাগুলো প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে এনেছে এবং মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কার্যকর কর্মসূচি চালু করেছে।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এক দশক আগে যেসব মেয়েরা আঠারো বছর বয়সের আগেই বিয়ে করেছিল তাদের অনুপাত ৪৭% থেকে কমে এখন ২৭% হয়েছে।

তবুও, ইউনিসেফের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে, বর্তমান পরিবর্তন হারের তুলনায় বারোগুণ বেশি বৃদ্ধির প্রয়োজন।

শিক্ষার গুরুত্ব
ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকারে নারী এবং কিশোরী মেয়েরা ভীষণ আন্তরিকতার সঙ্গে জানায়, স্কুল একটি অপরিহার্য বিষয়। সুন্দরম বলেন, মেয়েরা যারা স্কুলে লেখাপড়া করে বিশেষত মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রীরা, তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে বিয়ে করতে পারছে এবং নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, জ্ঞান এবং ক্ষমতা দিয়ে জীবনকে পরিপূর্ণ রূপদান করার সুযোগ পাচ্ছে।

কিন্তু সব দেশেই মেয়েরা স্কুল ছেড়ে দেয়। পিতামাতারা, প্রায়ই নিজেদের শিক্ষার অভাব বোধ করেন ঠিকই, কিন্তু, তারা শিক্ষার মূল্য বুঝতে পারলেও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সামাজিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে যাওয়াটাকে কঠিন বলে বিবেচনা করেন।

মাহি বাংলাদেশের ঢাকার পাশ্ববর্তী এক এলাকায় বাস করে। তার বাবা-মা যখন তাকে একজন অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিতে চান তখন তার বয়স মাত্র এগারো বছর। মাহি জানায়, সে স্কুলে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু, তার মা, বোন এবং ভগ্নিপতি তাকে অনুমতি দেয় নি।

জীবনযাপন
আফগানিস্তানে, সুমাইয়ার একটি অন্যরকম পরিণতি হয়েছিল। ভয়েস অব আমেরিকা প্রথম সাক্ষাৎকারের পাঁচ মাস পরে হিরাটে তার কাছে আবার ফিরে এসেছিল। তারা দেখতে পেল, সুমাইয়া একটি রৌদ্রোজ্বল ঘরে তার মায়ের সঙ্গে বসে পোশাক সেলাই করছে। তার বাবা চলে গেছেন। সুমাইয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং জবরদস্তিমূলক বিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাবা দু’বছর কারাভোগ করেছিলেন।

নারীদের আইনী অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারী সংস্থা, মেডিকা আফগানিস্তানের সাহায্যে সুমাইয়া ফেব্রুয়ারীতে তার স্বামীকে তালাক দিতে সক্ষম হয়। সে এখন একজন শিক্ষকের কাছে কুরআন পড়তে শিখছে এবং ভবিষ্যতে নিজেও শিক্ষক হবে বলে মনে করছে।

আপাতত, ‘আমি আমার মায়ের সঙ্গে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করছি, এবং আমার ভাই একটি কারখানায় কাজ করে। আমরা নিজেরাই এখন উপার্জন করি’ সুমাইয়া জানায়। ‘আমার জীবন এখন অনেক বেশি সুন্দর।‘❐

[মূল প্রতিবেদন: ইভা মাজরিয়েভা, লিনা কোরেয়া, জাফর ম্জাসিরি, ক্যারোলিন প্রিসটি, মুহাম্মদ সাকিব, ক্যারল গুয়েন্সবার্গ।]

দ্য ওয়র্থ অব আ গার্ল, ভয়েস অব আমেরিকা অবলম্বনে

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension