
হিজাব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে: ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল
ইরানি পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগ দেশটির হিজাব আইন পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মোনতাজেরি। ২ ডিসেম্বর, শুক্রবার অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা আইএসএনএ এই খবর প্রকাশ করেছে।
শিয়াদের পবিত্র শহর কোমে মোহাম্মদ জাফর মোনতাজরি বলেছেন, ‘সংসদ এবং বিচার বিভাগ উভয়ই এই ইস্যুতে কাজ করছে। আইনের কোনো পরিবর্তন দরকার কি না তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।‘ তবে আইনে কী পরিবর্তন করা যেতে পারে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেছেন, ৩০ নভেম্বর, বুধবার একটি রিভিউ টিম সংসদের সাংস্কৃতিক কমিশনের সাথে দেখা করেছে। এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল জানা যাবে।
এদিকে শনিবার ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জানিয়েছেন, ইরানের সংবিধানে ইসলামি আইন অনুযায়ী চলার কথা বলা হয়েছে। তবে সংবিধান বাস্তবায়নের পদ্ধতি রয়েছে যা নমনীয় হতে পারে।
১৯৭৯ সালে ইরানে মার্কিন সমর্থিত রাজতন্ত্র উৎখাত করে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ৪ বছর পর অর্থাৎ ১৯৮৩ সালের এপ্রিল মাসে দেশটির সমস্ত নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ইরান। ঠিকমতো হিজাব না পরার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। এরপর থেকে হিজাবের বিপক্ষে আন্দোলন শুরু করে ইরানি নারীরা। বর্তমানে এই আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।