আন্তর্জাতিকউত্তর আমেরিকা

কানাডায় জরুরি অবস্থা

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে কানাডায় চলছে আন্দোলন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এ আন্দোলন দমনে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর ফলে দেশটিতে গত ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করা হলো।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, অবৈধ বিক্ষোভের কারণে রাজধানীসহ আশপাশের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে বিক্ষোভের ফলে আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে। আমরা এই বিপজ্জনক কার্যক্রম আর চলতে দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে কঠোর আইন (জরুরি অবস্থা) জারি করতে হলো।

জরুরি অবস্থা জারির কারণে কানাডা সরকার নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবে। এর মাধ্যমে তারা নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, জনশৃঙ্খলা পুনর্বহাল, জনসমাবেশ নিষিদ্ধ বা কোনো এলাকায় ভ্রমণ সীমাবন্ধ করতে পারবে। তবে ট্রুডো বারবার বলেছেন এ আইনটি মানুষের মৌলিক অধিকার হস্তক্ষেপের কারণে ব্যবহার করা হবে না।

ট্রুডো বলেন, ‘আমরা মানুষের বাক স্বাধীনতা সীমিত করছি না, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা সীমিত করছি না। আমরা জনগণকে আইনগতভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দিচ্ছি না।’

কানাডার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ যখনই উপযুক্ত মনে করবে তখনই এই আইনটি প্রয়োগ করতে পারবে। তবে সিদ্ধান্তটি অবশ্যই এক সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্ট থেকে অনুমোদন করাতে হবে।

প্রসঙ্গত, জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের জারি করা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধের বিরুদ্ধে কানাডার রাজধানী অটোয়াতে জড়ো হয়ে গত মাসের শেষের দিকে বিক্ষোভ শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। দেশটির পার্লামেন্টের সামনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিক্ষোভে অংশ নেন সেখানকার বাসিন্দারা। আন্দোলন তীব্র আকার ধারন করলে নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার পরিবারের সদস্যদের রাজধানী অটোয়া থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension