
পাঠ্যবই নিয়ে অভিযোগ সত্য, স্বীকার করলেন জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই ‘অনুসন্ধানী পাঠ’-এর একটি অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ছাপানোর অভিযোগ সত্য বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বইটি রচনা ও সম্পাদনায় যুক্ত মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান।
আজ এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, এই বইয়ের কোন কোন অধ্যায়ের অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
পাঁচ জন লেখক বইটি রচনায় যুক্ত ছিলেন। তারা হলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব ও রনি বসাক। বইটি সম্পাদনা করেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
তারা বলেন, একটি পাঠ্যপুস্তক রচনার সাথে অনেক লেখক জড়িত থাকেন যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এই সকল লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোন একজন লেখকের লেখা নিয়ে এধরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের পুরো টিমের জন্য হতাশা এবং মনখারাপের কারণ হয়। উক্ত অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের উপরেও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি।
পরবর্তী সংস্করণে বইয়ের এই অংশ পরিমার্জন করা হবে জানিয়ে তারা বলেন, এই বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে, এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লেখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোনো যৌক্তিক মতামতকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নেব এবং সে অনুযায়ী পাঠ্য বইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।