মার্কিন নির্বাচন: ফের রুশ গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবের অভিযোগ উঠে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ অভিযোগ উঠে। ২০২০ সালের নির্বাচনেও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছিল, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
এবার আরো এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিরাচরিতভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবার হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনলো মার্কিন প্রশাসন। গতকাল বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন জনমতকে প্রভাবিত করতে ক্রেমলিন যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা নিয়ে আজ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন ঘোষণা দিতে পারে। ফৌজদারি অভিযোগসহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
এছাড়া ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব ফেলার লক্ষে রাশিয়ার ‘ভুয়া তথ্য প্রচার’ ঘিরে ফৌজদারি মামলা, ইন্টারনেট ডোমেইন আটক এবং নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন সামনে রেখে ৩২টি ইন্টারনেট ডোমেইন বন্ধ করা হয়েছে। যে ডোমেইনগুলো ব্যবহার করে ক্রেমলিন রুশ প্রোপাগান্ডা ছড়ায় এবং ইউক্রেনের প্রতি বিশ্বব্যাপী সমর্থন দুর্বল করে।
এদিকে আজ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোন কোন বিদেশী সরকার আমেরিকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল করার জন্য কত দূর যেতে পারে, সেটার উপর আজকের ঘোষণা আলোকপাত করা হয়েছে। কিন্তু এই বিদেশী সরকারদের বোঝা উচিত যে, আমার মুক্ত এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য বিদেশী শক্তির অপ্রয়াস আমরা সহ্য করবো না’।