প্রধান খবরবাংলাদেশ

ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে ওষুধের দাম

বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের মতোই জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম হুহু করে বাড়ছে। সরকার ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বেঁধে দিলেও খুচরা বিক্রেতাদের অনেকেই তা মানছেন না।

কোম্পানিগুলো নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে। জুন-জুলাইয়ের পর সেপ্টেম্বরেই অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমদানি করা ওষুধের দামের ওপর কারও হাত নেই। যে যার মতো দামে বিক্রি করছে। এক্ষেত্রেও বিশ্ববাজার, ডলার, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দেওয়া হচ্ছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই নিয়মিত নজরদারি। এ সুযোগে ফার্মেসি মালিকরা বেশি দাম নিচ্ছেন। উচ্চমূল্যের পাশাপাশি আছে ভেজাল ওষুধ। সরকারি হাসপাতালগুলোয় ওষুধ কেনায় আছে দুর্নীতিও। ওষুধের বাজার ঘিরে নৈরাজ্য থামানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় উচ্চমূল্য জোগাড়ে ব্যর্থ হয়ে অনেক রোগী কষ্ট আর দীর্ঘশ্বাস চেপে ফার্মেসির সামনে থেকে শূন্যহাতে ফিরছেন। কেউ কেউ সামান্য ওষুধ কিনলেও বাকিগুলো খাওয়া ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ওষুধসেবন ছেড়ে দিলে দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক জটিলতার সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে, যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুদূরপ্রসারী চ্যালেঞ্জ বাড়াবে।

ওষুধের বাড়তি মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সম্প্রতি সরকার সর্বোচ্চ ১৩৪ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু ওষুধের দামের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো যে প্রস্তাব করেছে, সরকার তার চেয়ে বেশি মূল্য বেঁধে দিয়েছে-এমন ঘটনাও আছে। এসব কারণে আগে যে দামে ওষুধ কেনা যেত, এখন তার চেয়ে কয়েকগুণ টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের।

নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের বাজারে ওষুধের বাড়তি দাম জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ক্রেতারা। খোলাবাজারে একই ওষুধের দামের ভিন্নতা আছে। সরকারি হাসপাতালেও এ ধরনের চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া গ্রামের দুর্গম এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের এবং ভেজাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।

ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কেবল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত ১১৭টি জেনেরিকের ওষুধের দাম বাড়াতে পারে। বাকিগুলোর দাম উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সবদিকে কঠোর মনিটরিংয়ের অভাবে এ খাতে বিশৃঙ্খলা চলছে। মানুষের প্রাণ রক্ষায় এদিকে সরকারের দ্রুত নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মো. শফিউজ্জামান বলেন, ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম বেড়েছে। প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, পরিবহণ ও সরবরাহ ব্যয়, জ্বালানি তেলের দাম, ডলারের বিনিময় মূল্য এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এলসি খুলতে বেশি খরচ হচ্ছে।

তাই কোম্পানিগুলো দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। তাছাড়া এ খাতে তিনটি পক্ষ রয়েছে। তাদের একটি ওষুধ কোম্পানি, অন্যটি ঔষধ প্রশাসন এবং আরেকটি ফার্মেসি-সংশ্লিষ্টরা। তবে কোম্পানি দাম বাড়িয়েছে কি না, তার জানা নেই।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী (এফডব্লিউএ) আম্বিয়া খাতুনের ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ডায়াবেটিস ধরা পরে। কোমরবিডিটির (একাধিক রোগে আক্রান্ত) কারণে চার বছর আগে বারডেম হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর অস্ত্রোপচার করেন। দুই বছর আগে পিঠের টিউমার এবং ২০২১ সালের শেষের দিকে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করান। রোববার আম্বিয়া খাতুন জানান, ডায়াবেটিস শনাক্তের পর থেকেই সতর্কতার সঙ্গে জীবনযাপন করছেন। তারপরও উচ্চরক্তচাপ, হৃদ্রোগ, হাত-পা ব্যথা, ঘুমের সমস্যা, অবসাদসহ বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত ৭ ধরনের ওষুধ খেতে হয়। দিন যত যাচ্ছে, ওষুধের তালিকা ততই দীর্ঘ হচ্ছে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় ওষুধ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী হেলথ কেয়ার কোম্পানির তৈরি গ্যাস্ট্রিকের এক পাতা সারজেল ট্যাবলেটের দাম ৭০ টাকা। একইভাবে ডায়াবেটিসের ইনসুলিন কেনেন ৩৭০ টাকা, ইউরিন ইনফেকশনের জন্য ইউনিমেড-ইউনিহেলথ কোম্পানির প্রতি পিস ইউরোম্যাক্স ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা, উচ্চরক্তচাপের এক পাতা এবে ক্যাব ৫+২০ ট্যাবলেট ১২০ টাকা, এরিস্টোফার্মার গ্লুভান+৮৫০ প্রতি পিস ট্যাবলেটের দাম ২২ টাকা। এসব ওষুধ প্রতিদিনই লাগে।

এছাড়া মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্টের জন্য ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের এমকাস্ট ট্যাবলেট, অ্যালার্জি ও হাঁচি-কাশির জন্য ওরিয়ন ফার্মার ডেসলর ৫ এমজি প্রতি পিসের দাম ৪ টাকা। হার্টের জন্য ইউনিমেড-ইউনিহেলথ কোম্পানির প্রতি পিস কার্ডিকর ২.৫ ট্যাবলেটের দাম ৬ টাকা এবং ঘুমের জন্য রেডিয়েন্ট ফার্মার লেক্সোটানিল ৩ এমজি প্রতি পিস ট্যাবলেটের দাম ৮ টাকা। প্রায় সময় জ্বর ও ব্যথার ওষুধ খেতে হয়। এভাবে মাসে সাড়ে চার হাজার টাকার ওষুধ লাগে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোমরবিডিটিতে ভুগছেন। নিয়মিত ওষুধসেবন করতে হয়। মাস তিনেক আগেও যেসব ওষুধ কিনতে ১২০০ টাকা লাগত, সেই একই ওষুধ এখন ২১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েকটি রোগের ওষুধ খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।

চলতি বছরের ৮ জুন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল সাব-কমিটির সভায় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এ ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫৮তম সভা হয়। ওইদিন ২০টি জেনেরিকের ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারাসিটামলের ১০টি ও মেট্রোনিডাজলের ছয়টি জেনেরিকের দাম বেড়েছে।

মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি ৪০ পয়সা বেড়ে এক টাকা হয়েছে। ২৪ টাকা ১০ পয়সার এমোক্সিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইঞ্জেকশনের দাম বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া জাইলোমেট্রোজালিন, প্রকোলেপেরাজিন, ডায়াজেপাম, মিথাইলডোপা, ফেরোসের মতো জেনেরিকের দাম ৫০ থেকে শতভাগ বেড়েছ। এভাবে ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাজারে সব কোম্পানি নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে।

সরেজমিনে একাধিক ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, হামদার্দ কোম্পানির তৈরি বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিকের নল-নেহাল সিরাপ দুই মাস আগেও ৬০ টাকা ছিল। এখন ৭৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি শিশুদের জ্বরের নাপা সিরাপ (৬০ মিলি) ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। একই সিরাপ ১৫ মিলির দাম ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৪ টাকা করা হয়েছে। বড়দের জ্বরের জন্য নাপা ৫০০ এমজি প্রতি পিস ট্যাবলেট ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। প্রতি পিস নাপা এক্সটেন্ড দেড় টাকা থেকে ২ টাকা হয়েছে। গ্যাস্ট্রিকের প্রতি পিস প্রোসিপটিন ৪০ এমজি ট্যাবলেট ৯ টাকা করা হয়েছে।

বাতব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিয়েন্ট ফার্মার প্রতি পিস কার্টিকেয়ার ট্যাবলেটের দাম ১৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১ টাকা করা হয়েছে। একই রোগের জন্য এই কোম্পানির প্রতি পিস কার্টিকেয়ার ম্যাক্স ট্যাবলেটের দাম ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা করা হয়েছে। কার্টিকেয়ার টিএস ট্যাবলেটের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ক্যালসিয়ামের কোরাল ডি ট্যাবলেট ১১ থেকে ১২ টাকা হয়েছে।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এনজিলক ৫০ এমজি ট্যাবলেট ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। উচ্চরক্তচাপের জন্য এই কোম্পানির আরও একটি ওষুধ ওসারটিল ৫০ এমজি ট্যাবলেটের দাম ৮ থেকে বেড়ে ১০ টাকা হয়েছে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কমপ্রিট ৪০ এমজি ট্যাবলেট ৭ থেকে ৮ টাকা হয়েছে। কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত তুসকা প্লাস (১০০ মিলি) সিরাপের দাম ৮০ থেকে ৮৫ টাকা হয়েছে। ঠান্ডা-কাশির জন্য ফেক্সো (৫০ মিলি) সিরাপ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হয়েছে। স্কয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ মক্সাসিলিন (১০০ মিলি) সিরাপ ৪৭ থেকে বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। এছাড়া বাচ্চাদের নাকের এন্টাজল ০.০৫% ড্রপ ১১ থেকে ১৯ টাকা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি এন্টাজল ০.১% ড্রপ ১১ থেকে ২০ টাকা হয়েছে। পেট খারাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রোবায়ো ক্যাপসুলের দাম ১৪ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা হয়েছে।

ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের তৈরি ডায়াবেটিসের ডায়মোরাল ৪০ এমজি একটি ট্যাবলেট ৮ থেকে বেড়ে ১২ টাকা হয়েছে। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে এসএমসি কোম্পানির তৈরি ওরস্যালাইন এন প্রতি প্যাকেটের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা হয়েছে। এসকেএফ কোম্পানির তৈরি শিশুদের জিংক সিরাপ (১০০ মিলি) ৩৫ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত সব কোম্পানির তৈরি মেট্রোনিডাজল গ্রুপের ট্যাবলেটের দাম এক টাকা করে বেড়েছে।

অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একমি কোম্পানির তৈরি মোনাস ১০ ট্যাবলেট ১২ থেকে ১৬ টাকা হয়েছে। ইনসেপ্টার তৈরি গ্যাস্ট্রিকের ওমিডন ১০ ট্যাবলেট প্রতি পিস ৩ টাকা থেকে বেড়ে ৪ টাকা হয়েছে। অপসোনিন কোম্পানির তৈরি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ফিনিক্স ২০ এমজি ৫ থেকে ৭ টাকা হয়েছে। ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিয়েন্ট ফার্মার ন্যাপ্রোসিন প্লাস ২০ এমজি+ ৩৭৫ এমজি ট্যাবলেট ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২০ টাকা হয়েছে। এরিস্টোফার্মার মাল্টি ভিটামিন এরিস্টো গোল্ড ১৫ পিস ট্যাবলেটের কৌটা ১০৫ থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং ৩০ পিস ট্যাবলেটের কৌটা ২১০ থেকে ২৭০ টাকা হয়েছে।

লালমাটিয়ার আল নূর ফার্মেসির মালিক আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদপুরের সোহাগ মেডিকেল হলের কর্ণধার মো. সোহাগ হোসেন বলেন, সরকার সবশেষ জুলাইয়ে ওষুধের দাম বাড়িয়েছে বলে গণমাধ্যমে আসে। কিন্তু ওষুধ কোম্পানিগুলো সব সময় দাম বাড়াচ্ছে। সেপ্টেম্বরেই অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির জন্য প্রায় প্রতিদিন খুদে বার্তা দিচ্ছে। দুদিন আগেও দুটি কোম্পানি ৩১ মেডিসিনের নতুন দাম নির্ধারণ করে সারা দেশের ফার্মেসিগুলোয় বার্তা পাঠিয়েছে। কোম্পানি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, দেশের অনেক পরিবারে এমন রোগী আছে, যাদের মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকার ওষুধ লাগে। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কেবল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত ১১৭টি জেনেরিকের ওষুধের দাম বাড়াতে পারে। বাকিগুলোর দাম উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকা ধরে দেশে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বড় করা উচিত। যেটির মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাকিগুলো বিক্রিতে নীতিমালা অনুসরণে বাধ্য করতে হবে। প্রশাসনিকভাবে সমাধান করতে হবে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, এ বছর সব জিনিসের দাম বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর লোকসান হচ্ছে। মালিকরা বলেছে, তারা আর চালাতে পারছে না। দাম না বাড়ালে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। এজন্য আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল। এখন যদি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, তাহলে দেশে এসব ওষুধের সংকট দেখা দেবে। তবে কেউ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি রাখার প্রমাণ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিশ্ববাজারে সবকিছুর দাম বাড়ায় জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে। ওষুধ খাতও এর মধ্যে রয়েছে।

দৈনিক যুগান্তর

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension