‘বিশ্বকাপ আয়োজন করতে না পারা বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর’
স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। টুর্নামেন্টটি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ইংল্যান্ড নারী টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিদার নাইটের মতে, বিশ্বকাপ আয়োজন করতে না পারা বাংলাদেশের জন্য ব্যর্থতা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকারের পতনের ব্যাপারটিই যে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরে যাওয়ার অন্যতম কারণ সেটা না বললেও চলছে। কারণ বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইসিসি বিকল্প ভেন্যুর খোঁজ করছিল। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশের সরকার বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ভেন্যু বদলের সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা নতুন আয়োজক হিসেবে বেছে নেয় আরব আমিরাতকে। লর্ডসে গতকাল ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে স্কাই স্পোর্টসকে নাইট বলেন, ‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারছে না। এটি সত্যিই বাংলাদেশ দলের জন্য বিব্রতকর ব্যাপার। তবে আমার মতে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। কন্ডিশন হালকা ভিন্ন হবে। তবে অতটা না।’
আরব আমিরাতের শারজা ও দুবাইয়ে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে দুবাইয়ে দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার, শারজায় ১৬ হাজার মানুষ বসে খেলা দেখতে পারেন। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দুটিসহ এশিয়ার ম্যাচগুলোতে অনেক দর্শক হয়েছে স্টেডিয়ামে। তবে নাইটের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হলে দর্শক আরও বেশি হতো। কারণ ১০ বছর আগে বাংলাদেশে আয়োজিত মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ইংলিশ এই নারী ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপের মতো আসরে দর্শকসংখ্যা নিয়ে বেশি চিন্তার কারণও দেখেন না নাইট। ইংল্যান্ডের নারী টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে দর্শক সংখ্যা আরও বেশি থাকত। সেখানে ২০১৪ বিশ্বকাপ খেলেছি। আমরা অনেক দর্শক দেখেছিলাম। বিশেষ করে সিলেটে। দর্শকদের উপস্থিতিতে খেলা আমাদের এক রকম অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কথা বলব। তবে এটা বিশ্বকাপ। ভাবার জন্য অত কিছু নাই।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরবে না। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির কারণে ভারত, শ্রীলঙ্কা, আরব আমিরাত, জিম্বাবুয়েসহ অনেকের নামই আয়োজকের নাম হিসেবে শোনা যাচ্ছিল। যদিও ভারত তা নাকচ করে দিয়েছিল। এমনকি অস্ট্রেলিয়া নারী টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক অ্যালিস হিলিও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পরে ভেন্যু বদলের সঙ্গে সঙ্গে আইসিসি সূচিতেও পরিবর্তন আনে।