‘২০ সেকেণ্ডের কম্পনে সব শেষ’
মরক্কোর তারৌদান্ত অঞ্চলের কাছে বসবাস শিক্ষক হামিদ আফকার। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সৃষ্ট ভূমিকম্পে যখন চারদিক দুলছিল তখন তিনি বেরিয়ে আসেন। বলেন, ২০ সেকেণ্ডের মতো কম্পন হয়েছে। দরজাগুলো আপনাআপনি খুলছিল আর বন্ধ হচ্ছিল। আমি দ্রুত তৃতীয়তলা থেকে নিচে নেমে আসি। চারদিকে তখন একে একে ভেঙে পড়ছিল বাড়িঘর। পুরো মাটি কাঁপছিল। মনে হচ্ছিল সমুদ্রের ঢেউয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব কথা বলেছেন তিনি।
শুক্রবার রাতে অনুভূত ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের খুব কাছে মারাকেশ শহরের অবস্থান। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ভূমিকম্পের কারণে প্রাচীন এ শহরের কিছু ভবন ভেঙে পড়েছে।
পার্বত্য গ্রাম আসনির অবস্থানও কেন্দ্রস্থলের কাছে। সেখানকার বাসিন্দা মুন্তাসির ইত্রি বলেন, বেশির ভাগ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশীরা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে। হাতের কাছে যা পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়েই স্থানীয় লোকজন আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাচীন শহর মারাকেশের ঘরবাড়িগুলো খুব গাদাগাদি করে তৈরি। ভূমিকম্পে কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ইদ ওয়াজিজ হাসান বলেন, ধ্বংসাবশেষ সরানোর মতো ভারী সরঞ্জামাদি মানুষের কাছে নেই। তারা খালি হাতেই ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা করছেন। মারাকেশের বাসিন্দা ৪৩ বছর বয়সী হাউদা হাফসি বলেন, ঘরের সিলিং থেকে ঝাড়বাতি ভেঙে পড়ার পর আমি দৌড়ে বাইরে চলে আসি। আমি এখনো সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় আছি। আমাদের ভয় লাগছে।