খাদ্য সংকট সমাধানে ইউক্রেন সীমান্তে শস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ লাইনে ধস নেমেছে। রাশিয়ার অবরোধের কারণে কৃষ্ণসাগর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতো বটেই খোদ যুক্তরাষ্ট্রও খাদ্য সংকটে ভুগছে। বিশ্বের প্রায় সকল অঞ্চলেই এ যুদ্ধের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানিতে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি সচল রাখতে নতুন একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দেশটি ইউক্রেনের সীমান্ত এলাকায় গ্রেইন সাইলো বা শস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবে। এতে করে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে এমএসএন।
খবরে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই ইউক্রেনের সীমানায় গ্রেইন সাইলো বা শস্য স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বন্দরে আটকে থাকা শস্য রপ্তানি সহজতর করার জন্য এই পরিকল্পনা। এ নিয়ে বাইডেন বলেন, বিশ্ব বাজারে ইউক্রেনের গম পেতে নতুন অবকাঠামোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগছে। এজন্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ফিলাডেলফিয়ায় ট্রেড ইউনিয়ন কনভেনশনে এক বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন বাইডেন।
ধারনা করা হচ্ছে, ইউক্রেনে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন খাদ্য আটকা পড়ে আছে। দেশটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক। তবে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণ করলে দেশটির রপ্তানি ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। এতে বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। বেশ কয়েকটি দেশই এখন দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু নিজেদের বন্দরগুলোতে মাইন ফেলেছে ইউক্রেন। এতে করে অন্তত ৮৪ বিদেশি জাহাজ ইউক্রেনে আটকা পড়েছে। এছাড়া সমুদ্র ব্যবহার করে রপ্তানির উপায়ও বন্ধ হয়ে গেছে।
বাইডেন বলেন, কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য আমদানি সম্ভব নয়। সেগুলোকে সমুদ্রেই উড়িয়ে দেয়া হবে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ট্রেনের মাধ্যমে ইউক্রেনের শস্য বের করে আনার কথা ভাবছে। কিন্তু ইউক্রেনের রেল লাইনগুলো ইউরোপের থেকে আলাদা। তাই ইউক্রেনীয় ট্রেন থেকে শস্য ইউরোপীয় ট্রেনে তুলতে হবে। আর এ জন্য ইউক্রেনের সীমান্তে সাইলো স্থাপন করবে যুক্তরাষত্র। এগুলো সাময়িকভাবে ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে শস্য রপ্তানিতে কাজ করবে।
