দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউনে নিষিদ্ধ তামাক ও অ্যালকোহল
দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউনে তামাক ও অ্যালকোহল জাতীয় সকল পণ্য বেচাকেনা ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের ভেতর দিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার এখনকার পরিস্থিতি এটি। গত মার্চের শেষ দিকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরুর সময় কঠোরভাবে তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তামাক ও অ্যালকোহল জাতীয় পণ্য বেচাকেনা নিষিদ্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার।
লকডাউন চলাকালে নিষেধাজ্ঞাটি পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও নজর রাখা হয়। ব্যবস্থা রাখা হয় জরিমানা কিংবা গ্রেপ্তারের মতো শাস্তিরও। এখন সরকার ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করতে শুরু করলেও তামাক ও অ্যালকোহল পণ্যে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে।
দেশটির একজন মন্ত্রী এনকোসাজানা দ্লামিনী-জুমা বলেন, ধূমপান ও মদ্যপান করোনা সংক্রমিতদের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে কিছু ভূমিকা রাখে। তাই এই ব্যবস্থা।
দ্লামিনী-জুমা একজন ডাক্তারও। ১৯৯০ সালে তিনি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। এখন তিনি সমবায় প্রশাসন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘন ঘন ধূমপান ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সেটা করোনাভাইরাসের জন্য অনুকূল হিসেবে কাজ করে।
ওদিকে মদ শিল্প কারখানার মালিকদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ‘করোনার বিস্তার রোধের লড়াই চলছে। অ্যালকোহল সে লড়াইয়ের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু মদ আমাদের অলস ও কর্মবিমুখ করে তুলবে। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা সবাই দায়িত্বশীল হতে চাই।’
সরকার অবশ্য লকডাউনের সময় ঘরোয়া অশান্তির ব্যাপারেও সচেতন। জনগণকেও সে ব্যাপারে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা। তবে দেশটিতে সিগারেট ও অ্যালকোহলের আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট যে গড়ে উঠবে না, তা জোর দিয়ে বলা যাবে না।◉