
এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ: এরদোগানকে ভারতের দূত
জম্মু-কাশ্মীর ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত হলেও বর্তমানে এটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এটি আংশিকভাবে ভারত, চীন ও পাকিস্তানের দখলে। তবে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর প্রায়ই নানারকম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। এখানে বসবাসরত শান্তিকামী মুসলিম সম্প্রদায় প্রায়ই এসব সন্ত্রাসীর টার্গেটে পরিণত হয়।
তবে কাশ্মীরের বেশিরভাগ মুসলিম বাসিন্দারা অন্যান্য ধর্মের লোকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে। তারা যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসের বিপক্ষে এবং তারা সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার প্রত্যাশা করে।
ভারত সরকার সংবিধানের সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে প্রদত্ত বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দিয়েছিল। এর পর থেকে সেখানকার ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫২তম অধিবেশনে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি সেখানকার সন্ত্রাস নিয়েও কথা বলেন ভুক্তভোগীরা।
যেহেতু এ অঞ্চলটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিচ্ছিন্ন, তাই তুরস্ক বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান কাশ্মীর ইস্যুতে বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন।
উদাহরণস্বরূপ ২০২০ সালে জাতিসংঘে এরদোগান বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গেলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে। কাশ্মীর এখনো জ্বলন্ত সমস্যা৷ জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মীরের লোকদের প্রত্যাশা মেনে এই সমস্যার সমাধান করা দরকার৷ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গেলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে। কাশ্মীর এখনো জ্বলন্ত সমস্যা৷ জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মীরের লোকদের প্রত্যাশা মেনে এ সমস্যার সমাধান করা দরকার৷
এরদোগান জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার পরই অবশ্য তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারত৷ জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো শিখতে হবে তুরস্ককে৷ তাদের নীতিতেও তার প্রতিফলন দরকার৷
তিরুমূর্তি টুইট করে বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য আমাদের চোখে পড়েছে৷ এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ ভারত তা কখনই বরদাশত করবে না৷
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে তুরস্কের অপরিসীম জ্ঞান রয়েছে। এই দক্ষতাই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ তুরস্কের অভিজ্ঞতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ইউরোপ থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত বিস্তৃত প্যান-তুর্কি বিশ্ব গড়ে তোলার ইচ্ছা রয়েছে।
সূত্র: মডার্ন ডিপ্লোম্যাসি।