
গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রকে ইঙ্গিত করে মোদীকে রাহুলের ব্যঙ্গ
গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ও সম্প্রচার বন্ধ করতে প্রবল সক্রিয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সোমবার বিজেপি সরকারের এই তৎপরতা নিয়ে মোদীকে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, নিষেধাজ্ঞা, দমন এবং ভীতি প্রদর্শন করে সত্য প্রকাশে বাধা দেয়া যাবে না। রাহুল আরও বলেন, সত্য উজ্জ্বল হয়। এর একটি খারাপ অভ্যাস আছে, সব সময়ই প্রকাশিত হয়ে যায়।
রাহুলোর অভিযোগ, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা তুলে ধরার কারণেই কেন্দ্রের কোপে পড়েছে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’।
ভারতের অনান্য বিরোধী দলের নেতারাও একে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রের নির্দেশে মতপ্রকাশের অধিকারের উপর আঘাত এসেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি।
যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় থাকার সময় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে।
গত রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসির তথ্যচিত্রের লিঙ্ক মুছে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেয়ার জন্যও নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।