
তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে আনার হত্যাকাণ্ড, আসছে ‘অচেনা’ বাধা
সরোয়ার আলম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন জানানো হলেও তার মরদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। গুম করার জন্য মরদেহ টুকরো টুকরো করার কথা বলা হয়েছে। কিছু মাংসখণ্ড, হাড় উদ্ধার করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও জানা যায়নি এসব আলমত আনারের কি না। খুনের পেছনে থাকা মূল পরিকল্পনাকারী কারা সেটা কবে জানা যাবে বা আদৌ জানা যাবে কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
কারণ এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থাগুলো একেক সময় একেক ধরনের তথ্য পাওয়ার কথা জানাচ্ছে। প্রথম দিকে বলা হচ্ছিল, চোরাচালানের লেনদেন নিয়ে বিরোধে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। আবার বলা হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে তাকে খুন করা হয়েছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ইন্ধন রয়েছে। তবে সর্বশেষ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষ না হতেই আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের আগে তিনি একজন প্রভাবশালী নেতার বাসায় ছিলেন এমন তথ্যও জানা গেছে। তাকে আটকের পর আনার হত্যার মূল পরিকল্পনায় প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার কথাও তদন্তকারী সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, মিন্টু যদি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতেন, তাহলে বিতর্ক হতো না। আসলে মিন্টুকে ধরা নিয়ে তারা ঝামেলায় ছিলেন। শেষমেশ তাকে ধরার পর নানা জায়গা থেকে চাপও আসে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্টু যে জড়িত তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তিনি আরও বলেন, আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তালগোল পাকিয়ে যাওয়ার দিকেই যাচ্ছে বলে তার মনে হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে রাঘববোয়ালদের নাম জানা গেলেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা যাচ্ছে না। তাদের বিষয়ে ‘অচেনা’ বাধা আসছে।
খবর ও ছবি দৈনিক দেশ রূপান্তরের সৌজন্যে