অঙ্গনাবাংলাদেশ

নারী জাগরণের পথিকৃৎ রোকেয়া দিবস আজ

আজ বেগম রোকেয়া দিবস। প্রতিবারের মতো এ বছরও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার, বুকলেট ও স্যুভেনির প্রকাশিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শ সামনে রেখে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অনন্য অর্জনের জন্য প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া পদক দেয়া হয়।

নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী এই নারী বেগম রোকেয়ার জন্ম ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে। বেগম রোকেয়ার বাবার নাম জহির উদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের। মা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী।

সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনো চল ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারে সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে এবং লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে বড় ভাই ও বোন উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। পরবর্তীতে ১৮৯৮ সালে ১৬ বছর বয়সে ভাগলপুর নিবাসী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হন।

তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো—মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী।

১৯১০ সালের শেষ দিকে তিনি কলকাতায় যান। তার লেখা অবরোধবাসিনী, সুলতানার স্বপ্ন, অর্ধাঙ্গী, মতিচুর ছাড়াও অসংখ্য বই লিখে তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়। ১৯৩২ সালের একই দিন ৯ ডিসেম্বরে তিরি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension