বইমেলাসাক্ষাৎকার

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর বিশেষ সাক্ষাৎকার

প্রশ্ন: নতুন দায়িত্ব পেলেন। জানতে চাইব আসন্ন বইমেলার আয়োজন নিয়ে…
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: দায়িত্ব নতুন নিয়েছি বটে। তবে বই ও কবিতার মানুষ হওয়ায় মেলার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ পুরনো।
 
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ বইমেলাকে এখন নিজের মনে করে। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা সমিতি এ মেলার সঙ্গে জড়িত। এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, নাগরিকরা এ মেলা নিয়ে বিশেষভাবে আগ্রহী। বিশেষ করে রাজধানীবাসী এ মেলা নিয়ে উচ্ছ্বসিত কয়েক দশক ধরেই। ছোট-বড় সবাই বইমেলায় অংশ নিতে বছর ধরে অপেক্ষায় থাকেন। এ কারণে যারাই বাংলা একাডেমির দায়িত্বে আসেন, তারা বইমেলা সফল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।
 
নতুন দায়িত্ব নিয়েছি বলে কিছু বিষয়ে সমস্যা সামনে আসছে। এ সমস্যাগুলো আমাকে মানিয়ে নিয়েই মেলার আয়োজন করতে হচ্ছে। মেলার সঙ্গে যারা জড়িত, যারা অভিজ্ঞ, তাদের সবাইকে নিয়েই আমরা কাজ করছি।
 
প্রশ্ন: মেলা উদ্বোধনের পরও স্টল সাজানোর কাজ হয়, যা শুরুর দিকে মেলার সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং প্রতি বছর তাগিদ থাকার পরও এ উদাসীনতা থেকে যায়। এ নিয়ে কী ভাবছেন?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: আমরা স্টল বরাদ্দের কাজ শেষ করেছি। অবকাঠামোর কাজও শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশনী সংস্থাগুলো স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত আমরা তাদের মাঠে কাজ করতে দেব। ৩১ তারিখ মেলার পূর্ণাঙ্গ রূপ দাঁড়িয়ে যাবে এবং ১ তারিখে যথারীতি মেলার উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনের পর মেলায় একটি হাতুড়ির শব্দও আমি শুনতে চাইব না।
 
প্রশ্ন: এবার মেলার আয়োজনে ভিন্ন কিছু মিলবে কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: হ্যাঁ। একটি স্বতন্ত্র বিষয় দিয়ে মেলার বিষয়বস্তু নির্ধারণ হয়েছে। এবার বিষয় হচ্ছে বিজয় ’৫২ থেকে ’৭১, নবপর্যায়ে।
 
প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংযুক্তি রেখে মেলার নকশার দায়িত্বে থাকবেন প্রখ্যাত স্থপতি এনামুল কবির নির্ঝর ও তার দল। এর বাইরেও মেলার অবকাঠামো তৈরির দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারাও অভিজ্ঞ। আমরা তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করেছি। আমরা মেলার মাঠ এমনভাবে সাজাতে চাই, যাতে অন্যবারের মতো তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
 
মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারেন। স্বাধীনতা স্তম্ভ এবার মূল মেলার অংশ হিসেবে থাকবে। পথগুলো প্রশস্ত হবে। পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। খাবারের দোকান ও কফি শপের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে; যা বিগত বছর থেকে আলাদা হবে। এবারের মেলা নিয়ে এটিই আমার পরিকল্পনা।
 
প্রশ্ন: বাংলা একাডেমির সামনের সড়কে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি মেলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: মেট্রোরেলের কাজ মেলায় কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। কারণ আগামী ২১ তারিখের পর দেখবেন রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। মেট্রোরেলের প্রথম পর্বের কাজ শেষ করে তারা আমাদের এ সড়ক ছেড়ে দেবে। এ কারণে আমি মনে করছি, সড়কে স্বাভাবিক অবস্থাই বিরাজ করবে।
 
প্রশ্ন: বইমেলার আরেকটি অংশ আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। এবার সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। কারণ কী?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: মেলা, মেলার উদ্বোধন ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন একসঙ্গে হওয়ায় বড় চাপ সৃষ্টি হয়। এতে মেলার স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিঘ্ন হয়। আবার আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনও পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানের হয় না।
 
প্রশ্ন: তাহলে কী সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে না?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অন্য সময়ে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন হবে; একেবারেই আলাদা করে। সাহিত্য সম্মেলনের নিজস্ব একটি ঢং আছে। আমরা সেই রূপ দেয়ার চেষ্টা করব।
 
আমরা সরকার ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রকে অনুরোধ করেছি একটি আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজনের। সম্মতি মিলেছে। এ মেলায় বিদেশি সংস্থাগুলো যোগ দেবে এবং মেলাতেই সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
 
প্রশ্ন: অভিযোগ রয়েছে, বাংলা একাডেমি অনুবাদের বাইরে আর বই প্রকাশ করে না। এ ব্যাপারে আপনার কোনও উদ্যোগ রয়েছে কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: বাংলা একাডেমির নানামুখী কাজ রয়েছে। সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রকাশনা; এর বাইরেও সৃজনশীল লেখকদের বই প্রকাশের উদ্যোগও আমরা নেই। বাংলা ভাষায় স্বনামধন্য লেখকদের বই প্রকাশের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। এখন ভালো লেখকদের বইও প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি।
 
প্রশ্ন: দায়িত্ব নেয়ার পর কোনও সমস্যায় পড়েছেন কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: না। এখনও তেমন কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয় নি। ছোটখাটো সমস্যা থাকবেই এবং সেটা মূলত মেলা ঘিরেই। তবে এসব সমস্যা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে চাই।
 
এখানে আসার আগে আরও একটি জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছি। সুতরাং চ্যালেঞ্জ নিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।
 
প্রশ্ন: রাজনৈতিক চাপেও স্টল বরাদ্দ দিতে হয় এবং এটি প্রমাণিত অভিযোগ। এবার এ চাপ কীভাবে মোকাবিলা করছেন?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: মেলায় দুভাবে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ধরনের স্টল বরাদ্দ এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আরেক ধরনের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়। মূলত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক থেকেই চাপটা আসে।
 
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশুদের বই, লিটল ম্যাগ এবং সরকারি সংস্থাগুলোর স্টল বরাদ্দ পেয়ে থাকে। এখানে রাজনৈতিক সংগঠনের স্টলও বরাদ্দ পায়। গত বছর যারা স্টল বরাদ্দ পেয়েছেন এবারও তারা পাবেন। আর নতুন যারা পাচ্ছেন, তাদের বই দেখে স্টল বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। স্টল বরাদ্দে রাজনৈতিক চাপ নিচ্ছি না।
 
প্রশ্ন: দুটি প্রকাশনী সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: আদর্শ ও ইউনিভার্সাল নামের দুটি প্রকাশনী সংস্থার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে তাদের স্টল বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 
প্রশ্ন: সবাইকে সমান সুবিধা দিতেই বাংলা একাডেমি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার জায়গা বর্ধিত করা হলো। অভিযোগ রয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্বদিকের স্টলগুলো ভুল নকশার কারণে আড়ালে পড়ে যায়। এ নিয়ে কী ভাবছেন এবার?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: বিষয়টি আমরাও অবগত। তবে এবার এই সমস্যা থাকবে না বলে আমরা আশা করছি। এ নিয়ে আমরা গত এক মাস ধরে আলোচনা করছি। বইমেলার পূর্বদিকে একটি গেট করার কথা ভাবছি এবার। এ নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। পুলিশ অনুমতি দিলে আমরা মেলার পূর্বদিকে একটি গেট করে দেব।
 
পূর্বদিক যদি খুলে দিতে পারি এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে সামনের দিকের চেয়ে পেছনেই বেশি লোক সমাগম হবে বলে আমি মনে করি।
 
প্রশ্ন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার জায়গা বাড়ানো হচ্ছে কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: না। আপাতত জায়গা বাড়ানোর দরকার আছে বলে মনে করি না। তবে পূর্বদিকে একটি গেট রাখার পরিকল্পনা আছে। যদি পুলিশ অনুমতি দেয়। গেটটি করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার সামনে আসছে। কারণ পুরো মাঠটি খোলা। স্বাধীনতা স্তম্ভও ওই পাশে। যদি আমরা নিরাপত্তা ঠিক রেখে পূর্বপাশটা খুলে দিতে পারি, তাহলে দেখবেন ওই পাশের মেলাই বেশি জমে উঠবে।
 
প্রশ্ন:বইমেলার উদ্দেশ্য ছিল সাহিত্যের মান বাড়ানোর পাশাপাশি পাঠক-লেখক তৈরি করা। সাহিত্যের মান নিয়ে কী বলবেন?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: শিল্প-সাহিত্যের মানের মূল্যায়ন অনেক বড় একটি বিষয়। অল্প সময়ে এই বিশ্লেষণ করা যায় না। সাহিত্যের মান মূল্যায়ন করা অবশ্যই বাংলা একাডেমির দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান কোনভাবেই সাহিত্যের পরিপূর্ণ মান নির্ণয় করতে পারে না। তবুও বাংলা একাডেমি তার ভূমিকা রাখছে বইমেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
 
তবে সাহিত্যের মান মূল্যায়নে এবার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘লেখক বলবেন’ নামে একটি কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে লেখক তার নিজের বই সম্পর্কে দশ মিনিট মূল্যায়ন করবেন। বইগুলো বাংলা একাডেমি বাছাই করে দেবে। আমি মনে করি, এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বইয়ের সাহিত্যমান বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যাবে।
 
প্রশ্ন: বাংলা একাডেমি নিয়ে আপনার নিজস্ব কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: প্রতিটা ব্যক্তিরই নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। আমারও অবশ্যই নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেটা দীর্ঘমেয়াদি। সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এমন পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তর বলা যায় না।
 
প্রশ্ন: বইয়ের মূল্য নিয়ে অভিযোগ আছে। মূল্য নির্ধারণে বাংলা একাডেমি ভূমিকা রাখতে পারে কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: বইয়ের মূল্য নির্ধারণে বাংলা একাডেমির কোনও নির্দেশনা থাকে না। প্রকাশনা সমিতি নিজেরাই বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করে। একটি বই নানা আঙ্গিকে বাজারে আসতে পারে। এ কারণেই বইয়ের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
 
তবে আমি মনে করি, বইয়ের মূল্য নির্ধারণে একটি নীতিমালা হওয়া জরুরি। এই দায়িত্ব বাংলা একাডেমির নয়। প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনও সংস্থা করতে পারে।
 
প্রশ্ন: নিরাপত্তার নামে বই নিষিদ্ধ করা হয়, প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ বাতিল করা হয়। এটি কীভাবে দেখছেন?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: বাংলা একাডেমির নিজস্ব টাস্কফোর্স থাকবে। তারা যদি মনে করেন, বইটি মেলায় বিক্রি বা প্রদর্শন ঠিক নয়, তাহলে তারা মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবেন। এরপর মেলা কমিটি যদি মনে করে বইটি তাৎক্ষণিকভাবে তুলে দিতে হবে, তাহলে অবশ্যই তা করবে। তবে বিধি মোতাবেকই সব করা হবে।
 
প্রশ্ন: সাহিত্য তো নিষেধাজ্ঞার আড়ালে চাপা পড়ার বিষয় নয়। এমন নিষেধাজ্ঞা সাহিত্য বিকাশের অন্তরায় কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: বিধি-নিষেধ সাহিত্য বিকাশের অন্তরায় নয়। মেলাটি সর্বজনীন। এখানে সর্বস্তরের মানুষ আসেন। একটি বিতর্কিত বই দিয়ে মেলার আয়োজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন না। চাইলেই একটি প্রকাশনী সংস্থাকে মেলায় জায়গা দেয়া যায় না। একুশে বইমেলার জন্য নির্দিষ্ট একটি নীতিমালা আছে। যেমন, বিদেশি বই বা লেখকের বই এই মেলায় আসবে না।
 
একুশের চেতনা এবং মেলা একসঙ্গে মিশে আছে। এই বইমেলা আর দশটি মেলার মতো নয়। কোনও দেশেই এক মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজন হয় না। এটিই মেলার স্বতন্ত্র এবং চেতনার প্রকাশ। ভাষার মাধ্যমে আমরা বইকে গ্রহণ করেছি।
 
প্রশ্ন: টাস্কফোর্সে প্রশাসনের কেউ থাকবেন কিনা?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: আপাতত বাংলা একাডেমির লোকরাই থাকবেন। তবে কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন প্রশাসনের লোক থাকা দরকার তাহলে তারাও থাকতে পারেন।
 
প্রশ্ন: বইমেলার সফলতা নিয়ে কী বলবেন?
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: আমি অবশ্যই আশা করছি এবারের বইমেলা সফল হবে। একুশে বইমেলা সবার। সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই মেলাটি সার্থক হবে। দর্শক, পাঠক, লেখক, গণমাধ্যমকর্মীরা বইমেলার প্রাণ। সবাই সহযোগিতা করলে মেলাটি সফল হবে। আমরা চাই, ২০১৯ সালের মেলাটি যেন ২০১৮ সাল থেকে আলাদা ও প্রাণবন্ত হয়। মেলায় আসলে যেন প্রাণ খোলে, সেজন্য সবারই অংশগ্রহণ জরুরি।
 
প্রশ্ন: বাংলা একাডেমি নিয়ে আপনার নিজস্ব পরিকল্পনা…
 
হাবীবুল্লাহ সিরাজী: অবকাঠামো বাড়ানো জরুরি। এটি আমার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু সমস্যা আছে। সেই সমস্যাগুলো দূর করতে চাই। এগুলো দূর করতে মন্ত্রণালয়েরও দায় আছে। আমি বলার মধ্যে আটকে থাকতে চাই না। কিছু করে দেখাতে চাই। এ কারণে আরেকটু সময় চাইছি। হয়তো ছয় মাস পর বলতে পারব কী করতে পারলাম, আর কী করতে পারব?
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please, Deactivate The Adblock Extension