রাজশাহী-৩ আসনের (পবা-মোহনপুর) এমপি আয়েন উদ্দিনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহীর মোহনপুর আমলি আদালতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার আলী হায়দার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন এমপি আয়েন উদ্দিন, তাঁর সহযোগী দেলোয়ার হোসেন, বুলবুল, মাহবুব, শফিকুল, টুটুল, রাজু ও সাইফুল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের কর্মী ছিলেন আলী হায়দার।
তাকেসহ চার-পাঁচজনকে মারপিট ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন আলী হায়দার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত দিয়েছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন মামলার সাক্ষী অ্যাডভোকেট আবু রায়হান প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে (৫ অক্টোবর) তিনি মুঠোফোনে জানতে পারেন, তাদের নির্বাচনী প্রচারকর্মী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ফেস্টুন-পোস্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে মামলার আসামিরা গালিগালাজ করছেন।
একপর্যায়ে সেখানে অসিম কুমার দাস, মেহেরুন্নেছা, সুইটসহ চার-পাঁচজনকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আটক রাখা হয়। এমন সংবাদ পেয়ে সাক্ষী রায়হানসহ অন্য সাক্ষীদের নিয়ে দুটি মাইক্রোবাসে ঘটনাস্থলে যান। এরপর এমপি আয়েনের নির্দেশে অন্য আসামিরা বাদীসহ সব সাক্ষীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করেন এবং মাইক্রোবাস দুটি ভাঙচুর করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা। বিষয়টি জানাজানি হলে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাদীসহ সাক্ষীদের উদ্ধার করে।
মামলার আইনজীবী আবু রায়হান কালের কণ্ঠকে জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
তবে মামলার বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করেন এমপি আয়েন উদ্দিন। তিনি বলেন, ওই দিন ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত না থাকলে আরো বড় ধরনের ঝামেলা হতো। আমি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। অভিযোগকারীরাই আমাদের লোকজনকে মারপিট করেছেন।