
কোমল দাস
সুঁচের খোঁচা সই না যে ফুল সে ফুল কভু হয় না মালা,
কখনও তাল ওঠেনা তার কাঠির বাড়ি খায় না যে ঢাক।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে না ভাঙলে কূল সে নদী হয় ক্ষুদ্র নালা,
সুঁচের ব্যথা বিহনে যে সোনার নোলক পায় নাকো নাক।
অগ্নি দহন না পেলে যে সেই মাটিতে হয় না হাড়ি,
আগুন তাপে না পুড়ে যে সোনা কভু হয় না খাঁটি।
মায়ের মতো হয় না কভু প্রসব ব্যথাহীনা নারী,
ফসল রোপন পায় না কভু হালের আঘাত ছাড়া মাটি।
অনল দাহে না পোড়ে যে দেয় না সে মোম কভু আলো,
না পোড়ে যে আগরবাতি ঘুমন্ত রই তার সুগন্ধ।
দহন দেখে তাই কখনও ফের এঁকো না আঁধার কালো,
কষ্ট দেখে ভয় পেলে যে প্রশস্ত পথ হবে বন্ধ।
কষ্ট ছাড়া নেই যে চাবি বড়ো হবার এই ভুবনে,
তাই তো বলি, “দুঃখ দেখে ভয় পেয়ো না কখনও আর।
খাঁটির টানেই আসে আঘাত বল রাখা চাই আপনমনে,
আঘাত হলো শ্রেষ্ঠ সখা কোথাও নেই তুলনা তার।”