
বাংলাদেশের প্রেমের ছড়া
সম্পাদনা: জগলুল হায়দার ও আবদুল কাদের
প্রচ্ছদ: নিয়াজ চৌধুরী তুলি, প্রকাশনা: বাবুই পাবলিকেশন্স
দাম: ১০০ টাকা।
বাঙালি প্রেমিক। প্রেমে পড়েই অনেকের লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই প্রারম্ভিক লেখা সাধারণত কবিতা বৈ আর কিছু নয়। কবিতার মধ্যেই একটি স্বতন্ত্র শিল্প প্রকরণ আবার ছড়া। ছড়া তো ছড়া হয়েই কবিতা। তাকে আলাদা করে আবার কবিতা হতে হয় নাকি! আমরা বুঝে-সমঝেই বিশ্বাস করি- হতে হয় না। তথাপি ছড়ার ভাষা বা ভয়েজ আজ যত উচ্চকিত অতীতে তেমনটি ছিল না। ছিল না বলেই প্রেমের কবিতা শিরোনামে অজস্র সংকলন বেরুলেও কেবল প্রেমের ছড়া নিয়ে উল্লেখ করার মত কোনও কাজ আমাদের আমাদের চোখে পড়ে না। এই না পড়বার বিষয়টিই ছড়াকার হিসেবে জগলুল হায়দারকে বিব্রত করেছিল, পীড়িত করেছিল। ‘বাংলাদেশের প্রেমের ছড়া’ গ্রন্থটির সম্পাদক সংকলনটি প্রকাশ করা সম্পর্কে বলছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ছড়াকার জগলুল হায়দার। সেই বিব্রতবোধ আর পীড়ন থেকে উৎসাহ আর দায় স্বীকার করে নিয়ে কাজটি জগলুল হায়দার আপন কাঁধে তুলে নিয়ে নিজেই করতে শুরু করলেন।
বাংলা ছড়ার জগতে জগলুল হায়দার এখন অতি পরিচিত একটি নাম। জগলুল হায়দার আজ এতটাই পরিচিত যে যারা ছড়ার জগতের মানুষ নন তারাও এখন জগলুল হায়দারকে চেনেন। বাংলাদেশের দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক এমনকি অন্তর্জালেও নিত্য লিখে চলেছেন জগলুল হায়দার। তবে সংকলনের কাজটি দুরূহ ছিল। একজন-দুজন তো নয়, একশ’ ছয়জন ছড়াকারের সমাগম ঘটিয়েছেন। জগলুল হায়দারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন আরেক ছড়াকার- আবদুল কাদের। দুজনে মিলে নিরলস পরিশ্রমে গড়ে তুললেন ‘বাংলাদেশের প্রেমের ছড়া’র প্রথম সংকলন।
গ্রন্থটিতে বাংলাদেশের প্রথিতযশা সকল ছড়াকারদের ছড়া গ্রন্থিত হয়েছে। সম্পাদকদ্বয় খুব সতেচনভাবেই স্বাধীনতাউত্তরকালের ছড়াকারদেরকেই সন্নিবেশিত করবার চেষ্টা করেছেন। বিশেষত সত্তর, আশি, নব্বই ও শূন্য দশকের প্রতিনিধিত্বশীল ছড়াকারদের ছড়া সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সব মিলিয়ে চমৎকার এই কাজটি বাংলাদেশের ছড়ার জগতে একটা মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে।